কী টেঁকে কী টেঁকে না

আদর্শ পোস্ট ফরম্যাট

শমীক সরকার, ফেবুপো, ২০ জুন

সাইকেল দুশো বছর ধরে টিঁকে আছে কেন এবং কেন আরো টিঁকে থাকবে অনেকদিন, এর পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে আরো কি কি টিঁকতে পারে তার আন্দাজ পাওয়া যাবে। আজ যা নতুন, কাল তা পুরনো হয়। তাই পুরনো মাত্রেই ভালো এবং সহনশীল বা টেঁকসই, মোটেই তা নয়। ঠিক যেমন নতুন মাত্রই ভালো, সহনশীল, টেঁকসই — তা নয়। অনেক কিছুই আপাতত-দরকারি টাইপ। যেমন, আমার মতে, কম্পিউটার টিঁকবে না। এত জটিল একটা ‘সিস্টেম অফ সিস্টেমস’ না ভালো, না সহনশীল, না টেঁকসই। প্রথমতঃ জটিল। জটিল মানে কী? জটিল মানে হল, এর অনেকগুলো পূর্ব-চাহিদা আছে — বিশেষ ধাতুনির্মিত চিপ, বিদ্যুৎ, বহুস্তরীয় নির্দেশতন্ত্র। দ্বিতীয়তঃ এর ব্যবহারকারীর জন্য ফেলে রাখা অংশ খুব কম। সব যেন নিজে করবে। মাতব্বর টাইপ। যত দিন যাচ্ছে, তত এর ওপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ কমছে। ব্যবহার মানে এখানে বুঝতে হবে তার সাথে মানুষের সংযোগ। Continue reading

রাজনীতির গোড়ায় অরাজনৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা

আদর্শ পোস্ট ফরম্যাট

শমীক সরকার, ফেবুপো, ২০১৬

স্থান-কাল-পাত্র বিচার না করে কথাগুলো বলা নিঃসন্দেহে অরাজনৈতিক কাজ। কিন্তু রাজনীতির গোড়ায় যদি এই মৌলিক অরাজনৈতিকতা না থাকে, তাহলে কী দাঁড়ায়?

তাহলে রাজনীতি একটা স্বাধীন স্বাবলম্বী সত্ত্বা হয়ে ওঠে। রাজনীতি আর মানুষের বিষয় থাকে না, উল্টে মানুষ রাজনীতির বিষয় (পড়ুন চাকর-বাকর, গিনিপিগ) হয়ে যায়।

তখন বিভিন্ন রাজনীতিকে (এবং রাজনীতি ব্যাপারটাকেই কখনো কখনো) হাততালি বা গালাগালি দেওয়া ছাড়া মানুষের কোনো কাজ থাকে না।

রাজনীতির হায়ারার্কিতে যারা যত ওপরে, তারা তত এই মৌলিক অরাজনৈতিকতাকে ভয় পায়, এড়িয়ে যায়।

আংশিকতাই শক্তি

আদর্শ পোস্ট ফরম্যাট

শমীক সরকার, ফেবুপো, ৭ জুন

অনেক কিছু জেনে বুঝে গেলে বা পড়ে ফেললে কি সমাজের জন্য বেশি কিছু করা যায়? না। প্রত্যেকটা মানুষের জানা বোঝা পড়ার একটা নির্দিষ্ট ট্র‍্যাজেক্টরি আছে। সবকিছু তো দূরের কথা, অনেককিছুও জানা বোঝা পড়া যায় না। আর, জানা বোঝা পড়ার কোনো কালেকটিভ এফোর্ট হয় না। আদানপ্রদান হতে পারে মাত্র। আমি ফুকো পড়লাম, তুমি দেল্যুজ, সে নিতশে – তিনজনে ভাগাভাগি করে পড়ে তারপর তিনজন মিলে ফাটিয়ে দেব – এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসুলভ বালখিল্যপনা এবং খিল্লি।
সমাজের জন্য কিছু করতে গেলে বরং প্রয়োজন কম জানা, কম বোঝা, কম পড়া। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু জানা, ততটুকু বোঝা, ততটুকু পড়া।
তা নাহলে কেউ বিজ্ঞ, বোদ্ধা এবং পণ্ডিত হতে পারে। সমাজের কাজে লাগবে না।
আংশিকতাই শক্তি।